Rules and Regulation
**অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে নিন্মোক্ত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে:** সকল শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ধর্মের বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের যথাযথ সম্মান করবে ও শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখাবে। সত্যবাদী হতে হবে, সৎ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিশতে হবে মনে রাখতে হবে সৎসংগে স্বর্গবাস আর অসৎ সংগে সর্বনাশ এবং অন্যায় ও অসত্যকে ঘৃণা করতে হবে। পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হতে হবে। কারণ সফলতা অর্জনে এর কোন বিকল্প নেই। নির্ধারিত স্কুল ইউনিফর্ম ছাড়া কোন শিক্ষার্থী কোন অযুহাতে কখনোই স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। কোন প্রকার খেলার সরঞ্জামাদি নিয়ে কোন শিক্ষার্থী স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। সিঁড়ি দিয়ে নামা বা উঠার সময় কোন শিক্ষার্থী হৈ চৈ করতে পারবে না। টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে সকল শিক্ষার্থী অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে। ছুটির ঘণ্টা বাজার পর সকল শিক্ষার্থীকে নিঃশব্দে সারিবদ্ধভাবে সিঁড়ি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে হবে। লাইন ভেঙ্গে হুড়োহুড়ি করে নামা যাবে না। স্কুল চলাকালীন সময় টিফিন পিরিয়ড ব্যতিত অন্য কোন সময়ে কোন শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষের বাইরে বা অন্য কোন ফ্লোরে যেতে পারবে না। ক্লাশ চলাকালীন সময় কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফ্লোরে যেতে পারবে না। এক শ্রেণির শিক্ষার্থী কোন অবস্থাতেই অন্য শ্রেণিতে প্রবেশ করতে পারবে না। পাঠ সংক্রান্ত উপকরণ ছাড়া অন্য কোন অপ্রয়োজনীয়
কিছু বহন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীরা বিনা কারণে নিজের আসন ছেড়ে উঠে যাবে না এবং অযথা ঘোরা ফেরা করবে না। এমনকি উচ্চস্বরে কথা-বার্তা বা হৈ চৈ করবে না। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সু-সজ্জিত রাখা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্কুলের সম্পদ কেউ নষ্ট করতে পারবে না, কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে তৎক্ষণাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, স্কুলের সম্পদ আমার নিজের সম্পদ। স্কুলের কোন সম্পদের ক্ষতি সাধন করলে তার যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ যে ছাত্র/ছাত্রী করেছে তা সে দিতে বাধ্য থাকবে। শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল, টয়লেট অথবা স্কুলের কোন দেওয়ালে, দরজায় বা জানালায় কোন কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি জানালা দিয়ে কোন খাদ্যবস্তু বা অন্যকোন যে কোন ধরণের বস্তু বাইরে ফেললেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্লাস শুরুর বা ক্লাস পরিবর্তনের ঘণ্টা বাজার পর ২/৩ মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ না করলে ক্লাশ মনিটর সাথে সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক মহোদয়কে জানাবে। শ্রেণির নির্ধারিত পাঠ আগে ভাগে বাড়ি থেকে রিডিং পড়ে আসতে হবে এবং শ্রেণিতে শিক্ষকের পাঠদান মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং প্রশ্ন করে ভালভাবে বুঝে নিতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে সম্মানের সাথে পুনরায় বুঝিয়ে দিতে শিক্ষককে অনুরোধ করতে হবে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা অবশ্যই মনে রাখবে যে, যে কোন পাঠের শেষে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র সংরক্ষণ করে প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার শেষে প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষকের মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করা লাগতে পারে এজন্য সেগুলো যত্ন করে তুলে রাখবে। তাৎক্ষণিক পরীক্ষা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা হিসেবে গৃহীত হবে। এজন্য তাৎক্ষণিক পরীক্ষা/ সাপ্তাহিক পরীক্ষার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী কমপক্ষে ৮টি A4 সাইজের অফসেট কাগজের সিট (নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল নং, বিষয়, তারিখ লিখে) স্কুল ব্যাগে প্রতিদিন মজুদ রাখতে হবে। প্রতি পিরিয়ডের পাঠদানের তথ্য, বা মর্মকথা অবশ্যই ডাইরিতে লিখে নিতে হবে। স্কুলের সকল পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিয়মিত অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। পরীক্ষার হলে কথা-বার্তা বলা বা আসন পরিবর্তন করা যাবে না। পরীক্ষায় যে কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হবে। ছুটির পরে কোন শিক্ষার্থী স্কুল প্রাঙ্গনে দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধূলা করবে না। স্কুল ছুটির পর ১৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থী স্কুল ত্যাগ না করলে যদি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। বিদ্যালয়ে মোবাইল আনা যাবেনা। কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তা হস্থক্ষেপ করা হবে এবং ফেরত দেওয়া হবে না। কোনো শিক্ষার্থী অনপুস্থিত থাকলে তার আসন পরিবর্তিত হবে এবং পেছনের জন সামনে অগ্রসরসর হবে। সকল শিক্ষার্থী অবশ্যই প্রাত্যহিক সমাবেশে যোগদান করতে হবে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। প্রত্যকে কমপক্ষে ১টি এক্সট্রা কারিকুলামে সংযুক্ত থাকতে হবে। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে" এই মর্ম বাণী মনে রেখে সকল শিক্ষার্থী নিজের কাজ করবে। **সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধসমূহ :** শিক্ষার্থীর অভিভাবক অবশ্যই ডায়রির প্রথম বা দ্বিতীয় পাতায় নিজের পরিচিতি, মোবাইল নম্বর ও নমুনা স্বাক্ষর লিপিবদ্ধ করবেন। প্রতিদিন আপনার সন্তান/পোষ্য, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর সেদিন সুবিধামত সময়ে শ্রেণিতে কী পড়ানো হয়েছে তা Dairy দেখে নিশ্চিত হউন এবং সার্বিক কার্যক্রম তদারকী করে সন্তানের দৈনিক পাঠ তৈরিতে অবদান রাখুন। আপনার সন্তান/পোষ্য ঠিক সময়ে স্কুলে হাজির হয় কিনা এবং স্কুল ছুটির পর ঠিক সময়ে বাসায় ফেরে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোতে আপনার সন্তান/পোষ্য নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে কিনা এবং পরীক্ষাগুলোতে আশানুরূপ ফল করতে পারছে কিনা এ বিষয়ে যত্নবান হউন। স্কুলের সকল পরীক্ষার উত্তরপত্র অভিভাবকের দেখানোর জন্য নির্ধারিত তারিখে ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুতরাং প্রত্যেক অভিভাবককের দায়িত্ব হল সে উত্তরপত্র দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে আলোচনার জন্য স্কুল থেকে আমন্ত্রণপত্র পেলে নির্ধারিত দিনে ও সময়ে স্কুলে উপস্থিত হয়ে যোগ্য অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করুন। যে সকল অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পৌছে দেন তারা স্কুলের গেটে তাদের পৌছে দিয়ে অনুগ্রহপূর্বক সেখানে অবস্থান না করে চলে যান। কোন অবস্থাতেই শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবেন না। স্কুল ছুটির পর ১৫ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই আপনার সন্তানকে নিয়ে যাবেন। অন্যথায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না। কোনো কারণে কোন ছাত্র-ছাত্রী একদিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবক দরখাস্তে স্বাক্ষর দিয়ে ছুটি অনুমোদন করিয়ে নিবেন। প্রতিমাসের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে আপনার সন্তান/পোষ্যর বেতনসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করুন। প্রত্যেক সাময়িক পরীক্ষার পর Progress Report দেখে স্বাক্ষর করুন। কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন শ্রেণিতে ফেল করলে পুনরায় সেই ক্লাশে পড়তে চাইলে ফলাফল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে আবেদনসহ পুনঃভর্তি হতে হবে। পুনঃভর্তি অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীর সন্তোষজনক আচরণের উপর নির্ভরশীল। আপনার সন্তান/পোষ্য যাতে প্রতিদিন নির্ধারিত এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে আসে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। আপনার সন্তান/পোষ্যকে খারাপ পরিবেশ ও অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে রাখুন এবং এর জন্য যথাযথ ভূমিকা আপনাকেই পালন করতে হবে। কোন অভিভাবক বিশেষ প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক বা সহকারি প্রধান শিক্ষক এর সাথে দেখা করতে চাইলে তা নির্ধারিত সময়ে পূর্বানুমতি সাপেক্ষে করুন। সাক্ষাতের কোন ধরনের অসৌজন্য আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা সবার নিকট অতি পবিত্র। সুতরাং হৈ চৈ করে এ পবিত্র স্থানের পরিবেশ বিষময় করবেন না। অভিভাবক ও শিক্ষকের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতি, জীবনের সফলতা ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব। এটা মনে রেখে কাজ করতে হবে। ‘‘শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানস পিতা” এ কথা বিবেচনায় রেখে আপনার সন্তানের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। কোন ধরনের হীনমন্যতার পরিচয় দান করবেন না। যথাযথ প্রয়োজন ছাড়া স্কুল প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করা বা অফিসে প্রবেশ করা বা অফিসে অপেক্ষা করা থেকে বিরত থাকুন। যার যার অর্পিত দায়িত্ব সেই সেই পালন করুন এবং সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে সহায়তা করুন। শিক্ষার্থীর ভর্তি ফরমে দেয়া মোবাইল নম্বর বা এসএমএস নম্বর কখনো পরিবর্তন হলে তা অফিসে যোগাযোগ করে নতুন নম্বর দিয়ে দিবেন। আপনার সন্তানের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিবেন না। তার সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকবেন এবং অসৎ বন্ধু থেকে দূরে রাখবেন।